অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুই/তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই মামলার তদন্ত কার্যরক্রমে বেশ কিছু অগ্রগতিও হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে জাপানি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুলশান হামলার ঘটনায় ৩২ জনকে উদ্ধার করা হযেছে। তাদের মধ্যে দুই/তিনজনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিট তদন্ত করছে। মামলায় কিছু কিছু তথ্য থাকে যা প্রকাশ করলে মামলার তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা সাসপেক্টরা পালিয়ে যায়। আমরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছি। তিনটি আস্তানা পেয়েছি। এক কথায় বলতে পারি তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে।
এর বেশি এই মুহূর্তে সুস্পষ্টভাবে মন্তব্য করার সময় হয়নি। আমরা দুই/একজনকে সন্দেহ করছি। ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে নাকি অথবা তারা পরিস্থিতির শিকার হয়ে জঙ্গিদের মদদ দিয়েছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জীবিত উদ্ধার হওয়া কেউ পুলিশের কাছে আটক নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আছাদু্জ্জামান মিয়া বলেন, একটা হামলার কতোগুলো পর্যায় থাকে। প্রথম পর্যায় হলো, তাদের একত্রিত করা। দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের মগজ ধোলাই বা ব্রেন ওয়াশ করা। পরে তাদের ইকুইপমেন্ট দেওয়া বা প্রশিক্ষণ দেওয়া। এরপর তাদের আশ্রয় দেওয়া এবং সরঞ্জামাদির সাপ্লাই দেওয়া। এরপরেই অ্যাটাক।
গুলশানের অ্যাটাকে ছিল ছয়জন। তারা ‘ইন অ্যাকশনে’ মারা গেছে। কিন্তু যারা রিক্রুটমেন্ট, প্রশিক্ষণ, অর্থ দেওয়া ও আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি, যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি আরো বলেন, আমরা চারজন সন্দেহভাজনের ছবিসহ নাম প্রকাশ করেছি। এছাড়া বাসা ভাড়া দিয়ে যারা সাহায্য করেছিল তাদের ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছি।
১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় দু’জন পুলিশ, ১৭ জন বিদেশি ও তিনজন বাংলাদেশি নিহত হন। এছাড়া এসময় ছয়জন হামলাকারীও নিহত হন।